বাঁচার চেষ্টা করতে করতে মরে যাব সবাই - কবিতা
একদিন দেখবে
বাঁচার চেষ্টা করতে করতে মরে যাবো সবাই।
তার আগ পর্যন্ত
কেউ বেঁচে থাকবো হাজার কষ্ট নিয়ে,
কেউবা বাঁচবো অন্যের ঘাড়ে কষ্ট দিয়ে।
হয়তো দ্বিতীয় কেউ-রাই বাঁচবো বেশি!
এরই মাঝে বাঁচবে কজন ভালো মানুষ
সাথে সাধারণ প্রচুর।
যারা বাঁচবো আশায়,
ফুরিয়ে যায়নি ভালো মানুষ।
নাইবা হলাম আমি ভালো
তাতে কি আসে যায়!
নিজের সব বিলিয়ে দিয়েছে
পরের তরে যারা,
খোদার দয়ায়, তাদের ত্যাগে;
বাঁচবে অনেক!
তাঁরাই থাকবে না।
থেকে যাবে সে সাদা হাতিরা।
মানুষ কমে গিয়েও
যদি রয়ে যায় মানবতা,
সেগুলোই খুঁজে খুঁটে খাবে যারা।
গরিব মরে অনাহারে অন্ন না পেয়ে,
সাদা হাতিরা
মরে লাখ টাকার আই.সি.ইউ-তে শুয়ে।
গলা দিয়ে ভাত নামে না তাদের।
পাঁচ টাকার ভাত জাউ করে খায়।
মুখে নয়,
লাখ টাকার পাইপে পেটে ঢুকিয়ে নেয়!
খোদার কি লিলা,
কারো পেট খালি দানা জুটে না মুখে।
কারোরবা পাইপযোগে যায় পেটে
সে দানা গেলার ক্ষমতা লোপে!
তাদের সে পাইপের ভাড়া,
লুট করা চালের দামে শোধাইতে পারে না
টান পড়ে গরিবের মহামারীর ভাতায়!
ওদিকে কর্মাভাবে খেতে না পেয়ে
গরিব কপাল চাপড়ায়।
তাতেই বা কার কি আসে যায়?
সাদা হাতি কভু মারা গেলে
গরিবের হকের চাল-ডাল-তেল
মিলাদের খিচুড়ি হয়ে গরিবেরই পাতে পাতে চলে।
হয়তো ত্রানের চাল না পাওয়া,
গরিবটা এক বেলা খেয়ে তৃপ্তি পায়।
তাতেই শান্ত কলিজা দোয়া ফুঁকে
নেকি গুঁজে দেয়
সে হাতির আমলের খাতায়।
যে কখনো কবরে শোয়া থাকে,
কখনোবা লাখ টাকার আই.সি.ইউ বেডে।
গরিবের মনের দোয়ায়
লিলা দেখায় খোদা,
নয়া জীবন দেয় আই.সি.ইউ-র হাতিকে।
কিন্তু কিছু হিসাব তোলা থাকে।
সেদিন মিলাদে,
ভালো কাপড়ে না আসাতে
যে ফকির খিচুড়ি না পেলো!
মায়ের বুকের দুধ শুকিয়ে যাওয়াতে
যে শিশু অনাহারে থেকে গেলো!
আই.সি.ইউ-তে হাতির পাহাড়ায়
ডাক্তার ছিল,
বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া
হবু ডাক্তারের বাবা যে
স্বপ্নে ডাক্তার ছেলেকে দেখে বুক বেঁধে ছিল!
বলে পৃষ্ঠা ভরে ফেলে যাবে কত শত!
ওহে নেতা, ওহে ধনী, ওহে সাদা হাতি!
হয়তো ভেবেছো বেঁচে গিয়েছো মৃত্যু চুমি।
এযাত্রায় বেঁচে গিয়েছো ঠিকি,
যাত্রা ফুরাবে একদিন।
সেদিন মরে গিয়ে বেঁচে যাবে তারা,
বেঁচে গিয়ে মরবে তুমি।
এ জগতে কেও কি চিরকাল বেঁচে রবো ভাই?
নাহ,
একদিন দেখবে
বাঁচার চেষ্টা করতে করতে মরে যাবো সবাই।
রাত ১ঃ২৬
২৯/০৬/২০২০
#Bodrul_Islam
বাঁচার চেষ্টা করতে করতে মরে যাবো সবাই।
তার আগ পর্যন্ত
কেউ বেঁচে থাকবো হাজার কষ্ট নিয়ে,
কেউবা বাঁচবো অন্যের ঘাড়ে কষ্ট দিয়ে।
হয়তো দ্বিতীয় কেউ-রাই বাঁচবো বেশি!
এরই মাঝে বাঁচবে কজন ভালো মানুষ
সাথে সাধারণ প্রচুর।
যারা বাঁচবো আশায়,
ফুরিয়ে যায়নি ভালো মানুষ।
নাইবা হলাম আমি ভালো
তাতে কি আসে যায়!
নিজের সব বিলিয়ে দিয়েছে
পরের তরে যারা,
খোদার দয়ায়, তাদের ত্যাগে;
বাঁচবে অনেক!
তাঁরাই থাকবে না।
থেকে যাবে সে সাদা হাতিরা।
মানুষ কমে গিয়েও
যদি রয়ে যায় মানবতা,
সেগুলোই খুঁজে খুঁটে খাবে যারা।
গরিব মরে অনাহারে অন্ন না পেয়ে,
সাদা হাতিরা
মরে লাখ টাকার আই.সি.ইউ-তে শুয়ে।
গলা দিয়ে ভাত নামে না তাদের।
পাঁচ টাকার ভাত জাউ করে খায়।
মুখে নয়,
লাখ টাকার পাইপে পেটে ঢুকিয়ে নেয়!
খোদার কি লিলা,
কারো পেট খালি দানা জুটে না মুখে।
কারোরবা পাইপযোগে যায় পেটে
সে দানা গেলার ক্ষমতা লোপে!
তাদের সে পাইপের ভাড়া,
লুট করা চালের দামে শোধাইতে পারে না
টান পড়ে গরিবের মহামারীর ভাতায়!
ওদিকে কর্মাভাবে খেতে না পেয়ে
গরিব কপাল চাপড়ায়।
তাতেই বা কার কি আসে যায়?
সাদা হাতি কভু মারা গেলে
গরিবের হকের চাল-ডাল-তেল
মিলাদের খিচুড়ি হয়ে গরিবেরই পাতে পাতে চলে।
হয়তো ত্রানের চাল না পাওয়া,
গরিবটা এক বেলা খেয়ে তৃপ্তি পায়।
তাতেই শান্ত কলিজা দোয়া ফুঁকে
নেকি গুঁজে দেয়
সে হাতির আমলের খাতায়।
যে কখনো কবরে শোয়া থাকে,
কখনোবা লাখ টাকার আই.সি.ইউ বেডে।
গরিবের মনের দোয়ায়
লিলা দেখায় খোদা,
নয়া জীবন দেয় আই.সি.ইউ-র হাতিকে।
কিন্তু কিছু হিসাব তোলা থাকে।
সেদিন মিলাদে,
ভালো কাপড়ে না আসাতে
যে ফকির খিচুড়ি না পেলো!
মায়ের বুকের দুধ শুকিয়ে যাওয়াতে
যে শিশু অনাহারে থেকে গেলো!
আই.সি.ইউ-তে হাতির পাহাড়ায়
ডাক্তার ছিল,
বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া
হবু ডাক্তারের বাবা যে
স্বপ্নে ডাক্তার ছেলেকে দেখে বুক বেঁধে ছিল!
বলে পৃষ্ঠা ভরে ফেলে যাবে কত শত!
ওহে নেতা, ওহে ধনী, ওহে সাদা হাতি!
হয়তো ভেবেছো বেঁচে গিয়েছো মৃত্যু চুমি।
এযাত্রায় বেঁচে গিয়েছো ঠিকি,
যাত্রা ফুরাবে একদিন।
সেদিন মরে গিয়ে বেঁচে যাবে তারা,
বেঁচে গিয়ে মরবে তুমি।
এ জগতে কেও কি চিরকাল বেঁচে রবো ভাই?
নাহ,
একদিন দেখবে
বাঁচার চেষ্টা করতে করতে মরে যাবো সবাই।
রাত ১ঃ২৬
২৯/০৬/২০২০
#Bodrul_Islam
কোন মন্তব্য নেই
Every comment will be moderated to prevent spamming. Don't put any spam link, Please!