কাকার মৃত্যুক্ষনে...
(সাল ২০৫০) আপনি কতটা আধুনিক তা হয়তো আপনি জানেন না। তবে আপনি যদি স্মার্টফোন ব্যাবহারকারী হোন তবে জেনে রাখুন আপনি স্মারটেস্ট মানুষদের কাতারে চলে গেছেন, কংগ্রাচুলেশন্স! আরো কত স্মার্ট ডিভাইস আছে তা বাটনওয়ালা ফোনের লোকের মুখে বেমানান লাগবে।
এটাও জেনে রাখুন আমরা প্রযুক্তির উপর প্রয়োজনের অধিক নির্ভর হয়ে পড়েছি। সেদিন আমাদের ফরিদ কাকার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেল। কাকার অকালবিয়োগে সবাই হাহুতাশ করতে লাগলো। কান্নার রোল পড়ে গেল। শেষকৃত্যানুষ্ঠান এর কাজ শুরু হয়ে গেল।
এমন সময় কাকার কাছের একজন পশ্চাদাচারী (ব্যাকডেটেড) বন্ধু সুবল আসলেন। বাড়ির পাশেই থাকেন তিনি। বন্ধুবিয়োগে তিনিও কাতর ছিলেন। পাগলের মতো বলতে লাগলে, "আমার দোস্ত এভাবে মরতে পারে না...।"
শোকের মাতমে এমন আরো অনেকে করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তিনিও শুরু করলেন। মুরুব্বি হওয়ায় সবাই তাও মেনে নিচ্ছিলেন। মাত্রা ছাড়িয়ে যায় যখন তিনি কিছুক্ষন কাকার হাত ধরে থেকে বললেন, "ফরিদের জান দুনিয়াতেই আছে !"
সবাই ধরে নিলেন ভদ্রলোক পাগল হয়ে গেছেন। কাকি আরো জোরে কান্না শুরু করলেন ঘটনা দেখে। কাকার বন্ধু নিশ্চিত কাকা বেচে আছেন। কেও মানে না, মানে কি করে?
"মৃত লাশকে কখনো কথা বলতে দেখেছেন?" একজন চিৎকার করছিল জমায়েত থেকে।
" কোথা থেকে আসছেন উনি, স্মার্ট রিস্ট ব্যান্ড থেকেও বেশি বোঝেন?" সবাই শোক ছেড়ে যখন ওই কাকাবন্ধুর দিকে তেরে যেতে নিচ্ছিলেন, কাকার হাত থেকে খুলে রাখা রিস্ট ব্যান্ড টিট টিট করে উঠলো।
কাকাতো ভাই গেলো। একটা নোটিফিকেশন এসেছে ফরিদ কাকার ব্যাবহৃত "স্মার্ট রিস্ট ব্যান্ড"-টির ব্র্যান্ড ওয়েবসাইট থেকে।
- We are very sorry for our software malfunction. Some of our products started misbehaving. Please don't panic. He or she might not been dead.
তার মানে দাড়ালো কাকার পাগল বন্ধু সুবলই ঠিক ছিলেন, তিনি কাকার হাতে পালস চেক করেছিলেন হাত চেপে ধরে। অন্যদিকে সেই স্মার্ট রিস্ট ব্যান্ডের যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে সেটা কাকাকে মৃত বা ডাক্তারি ভাষায় হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনহীন দেখিয়েছিল! যদিও ফরিদ কাকা অজ্ঞান ছিলেন যাকে কোন গোলযোগের কারনে হৃৎস্পন্দনহীন দেখিয়েছিল যন্ত্রটি।
যাইহোক, বাড়িতে এসে কাকার সাথে কাকির হাতের পায়েশ খেতে খেতে লিখছিলাম। পায়েশে লবন বেশি লাগছিল। পরে দেখি কাকি চোখের জল মুছছে। বেচারি কাকি ভেবেছিল তার স্বামী বুঝি তাকে একা রেখে পরপারে চলে গিয়েছে! ও আর কাকার ছোট্ট মেয়েটা আসার সময় বলছিল, " জানো ভাইয়া, আব্বু নন্সেন্স হয়ে গিয়েছিল।" হাসতে হাসতে সবাই খুন হয়ে যায় একরকম একথা শুনে। আসলে সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিল বলতে গিয়ে ননসেন্স বলে ফেলেছিল পুচকি বেচারি। এতকিছুর ভিড়েও একটি জিনিস চোখে পরলো আমার, কারোর হাতে কোন রিস্ট ব্যান্ড দেখলাম না!
9:48 PM
10/2/2019
অনেকের কাছেই এটা ওয়েস্ট অভ টাইম মনে হতে পারে তাদের জন্য আরেকটি ছোটগল্প...।
আড্ডায় মেয়ে্টি ছেলেটির কৌতুকটিকে বোরিং বলেছিল।ক্ষনিক বাদে যখন শুনলো ছেলেটি বি.সি.এস ক্যাডার মেয়েটি ছেলেটিকে ফোন করে হো হো করে হেসে উঠলো। বললো অসাধারণ ছিল কৌতুক, আমি বুঝতে পারি নি...
#সরকারি_কৌতুক
#Shaon_070
এটাও জেনে রাখুন আমরা প্রযুক্তির উপর প্রয়োজনের অধিক নির্ভর হয়ে পড়েছি। সেদিন আমাদের ফরিদ কাকার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেল। কাকার অকালবিয়োগে সবাই হাহুতাশ করতে লাগলো। কান্নার রোল পড়ে গেল। শেষকৃত্যানুষ্ঠান এর কাজ শুরু হয়ে গেল।
এমন সময় কাকার কাছের একজন পশ্চাদাচারী (ব্যাকডেটেড) বন্ধু সুবল আসলেন। বাড়ির পাশেই থাকেন তিনি। বন্ধুবিয়োগে তিনিও কাতর ছিলেন। পাগলের মতো বলতে লাগলে, "আমার দোস্ত এভাবে মরতে পারে না...।"
শোকের মাতমে এমন আরো অনেকে করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তিনিও শুরু করলেন। মুরুব্বি হওয়ায় সবাই তাও মেনে নিচ্ছিলেন। মাত্রা ছাড়িয়ে যায় যখন তিনি কিছুক্ষন কাকার হাত ধরে থেকে বললেন, "ফরিদের জান দুনিয়াতেই আছে !"
সবাই ধরে নিলেন ভদ্রলোক পাগল হয়ে গেছেন। কাকি আরো জোরে কান্না শুরু করলেন ঘটনা দেখে। কাকার বন্ধু নিশ্চিত কাকা বেচে আছেন। কেও মানে না, মানে কি করে?
"মৃত লাশকে কখনো কথা বলতে দেখেছেন?" একজন চিৎকার করছিল জমায়েত থেকে।
" কোথা থেকে আসছেন উনি, স্মার্ট রিস্ট ব্যান্ড থেকেও বেশি বোঝেন?" সবাই শোক ছেড়ে যখন ওই কাকাবন্ধুর দিকে তেরে যেতে নিচ্ছিলেন, কাকার হাত থেকে খুলে রাখা রিস্ট ব্যান্ড টিট টিট করে উঠলো।
কাকাতো ভাই গেলো। একটা নোটিফিকেশন এসেছে ফরিদ কাকার ব্যাবহৃত "স্মার্ট রিস্ট ব্যান্ড"-টির ব্র্যান্ড ওয়েবসাইট থেকে।
- We are very sorry for our software malfunction. Some of our products started misbehaving. Please don't panic. He or she might not been dead.
তার মানে দাড়ালো কাকার পাগল বন্ধু সুবলই ঠিক ছিলেন, তিনি কাকার হাতে পালস চেক করেছিলেন হাত চেপে ধরে। অন্যদিকে সেই স্মার্ট রিস্ট ব্যান্ডের যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে সেটা কাকাকে মৃত বা ডাক্তারি ভাষায় হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনহীন দেখিয়েছিল! যদিও ফরিদ কাকা অজ্ঞান ছিলেন যাকে কোন গোলযোগের কারনে হৃৎস্পন্দনহীন দেখিয়েছিল যন্ত্রটি।
যাইহোক, বাড়িতে এসে কাকার সাথে কাকির হাতের পায়েশ খেতে খেতে লিখছিলাম। পায়েশে লবন বেশি লাগছিল। পরে দেখি কাকি চোখের জল মুছছে। বেচারি কাকি ভেবেছিল তার স্বামী বুঝি তাকে একা রেখে পরপারে চলে গিয়েছে! ও আর কাকার ছোট্ট মেয়েটা আসার সময় বলছিল, " জানো ভাইয়া, আব্বু নন্সেন্স হয়ে গিয়েছিল।" হাসতে হাসতে সবাই খুন হয়ে যায় একরকম একথা শুনে। আসলে সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিল বলতে গিয়ে ননসেন্স বলে ফেলেছিল পুচকি বেচারি। এতকিছুর ভিড়েও একটি জিনিস চোখে পরলো আমার, কারোর হাতে কোন রিস্ট ব্যান্ড দেখলাম না!
9:48 PM
10/2/2019
অনেকের কাছেই এটা ওয়েস্ট অভ টাইম মনে হতে পারে তাদের জন্য আরেকটি ছোটগল্প...।
আড্ডায় মেয়ে্টি ছেলেটির কৌতুকটিকে বোরিং বলেছিল।ক্ষনিক বাদে যখন শুনলো ছেলেটি বি.সি.এস ক্যাডার মেয়েটি ছেলেটিকে ফোন করে হো হো করে হেসে উঠলো। বললো অসাধারণ ছিল কৌতুক, আমি বুঝতে পারি নি...
#সরকারি_কৌতুক
#Shaon_070
কোন মন্তব্য নেই
Every comment will be moderated to prevent spamming. Don't put any spam link, Please!